রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার পর শুরু হওয়া এই সংঘর্ষটি সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে, ফলে পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইমন, উৎসব, আজাদ, বুলবুলসহ অন্যান্যরা রয়েছেন। হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, জরুরি বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা চলছে।
সূত্র জানায়, সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে কথা কাটাকাটির জেরে। রাত সোয়া ২টার দিকে সংঘর্ষের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, যখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা বিটাক মোড়ে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেন।
ঢাকা পলিটেকনিকের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর রাত ১টা ৪০ মিনিটে শিক্ষকরা ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। পরে, দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে সংঘর্ষের পেছনের কারণ হিসাবে জানা যায়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে কিছুদিন আগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তার ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বৈঠক করতে গেলে বুটেক্সের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তবে সংঘর্ষের ফলে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, দুই প্রতিষ্ঠানই কীভাবে এই পরিস্থিতির সমাধান করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে কী ব্যবস্থা নেয়।